এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নকালে ভুল করায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৯ পরীক্ষককে দুই বছর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত শিক্ষকরা দুই বছর পরীক্ষক হতে পারবেন না। এসব পরীক্ষকের ভুলের কারণে ৬০ শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন করতে হয়েছে। এমনকি ফেল করা শিক্ষার্থীরাও পুনঃমূল্যায়নের পর জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে গত ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ ৫
প্রকাশিত ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৯ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়ায় ১২টি বিষয় পুনঃনিরীক্ষার জন্য ছয় হাজার ৮৬৩ পরীক্ষার্থী আবেদন করে। আবেদনকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করে শিক্ষা বোর্ড থেকে ৬০ জনের ফলাফল পরিবর্তন করে। এই পরিবর্তনের ফলে অকৃতকার্য হওয়া ৪০ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে ফেল করা থেকে ১১ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া ৪৯ পরীক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে যেসব পরীক্ষক খাতা দেখায় ভুল করেছিলেন তাদেরকে দুই বছর পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে বিরত রাখা হয়েছে বলে বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিন্টিংয়ে ভুল: যশোর বোর্ডের এসএসসি আইসিটি পরীক্ষা স্থগিত
এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে। যে সব পরীক্ষক খাতা দেখতে ভুল করেছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। পরীক্ষা কমিটির সভায় নিয়ম অনুযায়ী তাদের দুই বছর খাতা দেখা থেকে বিরত রাখা হবে।